মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ
মেহেরপুরের গাংনীতে ছেলের শাবলের আঘাতে বাবা রবিউল ইসলাম (৬০) গুরুতর আহত হয়েছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার পশ্চিম মালশাদহ গ্রামে নিজ বাড়িতে এঘটনা ঘটে। আহত রবিউল ইসলাম পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের মৃত রব্বানী মন্ডলের ছেলে। আহত রবিউল ইসলামকে পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফারুক হোসেন তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার করে।
আহত রবিউল ইসলাম জানান, আমি তিনবার জমি জায়গা বিক্রি করে আমার ছেলে শবির হোসেনকে প্রবাসে পাঠিয়েছিলাম কিন্তু সে কিছুই করতে পারেনি, আবারো ইতালি যাওয়ার জন্য আমার কাছে টাকা দাবি করছে। আমি টাকা দিতে চাইনি। এ ঘটনায় আমি গাংনী থানা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযোগ দেয়াকে কেন্দ্র করে সে আজ সকালে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে শাবল দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেছে এবং আমার হাত ভেঙ্গে দেয়। আমি এই ছেলের বিচার দাবী করছি।
আহত রবিউল ইসলামের স্ত্রী আরিছন জানান, কোন কথা না বলে শবির এসে শাবল দিয়ে আমার স্বামীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেধড়ক মারতে থাকে এ সময় আমার স্বামীর ডানহাত ভেঙ্গে গুড়ো যায়।
হামলাকারী শবির জানান, আমি দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য এক বিঘা জমি বিক্রয় করতে চাই। আমার বাবা সেখানে বাধা সৃষ্টি করে। এছাড়া বিভিন্ন সময় পরিবারে ছোট ছোট ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝামলো তৈরি হয়। এ নিয়ে আমার বাবা থানায় আমার নামে অভিযোগ করে। এছাড়া আমি কাঠাল গাছের পাতা কেটেছিলাম, পরে এই গাছের সব পাতা আমার বাবা বাজারে বিক্রয় করেছে। আজ সকালে বাড়িতে আমার সাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে বাবার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমি রাগ করে আমার বাবাকে আঘাত করি।
এ ব্যাপারে গাংনী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর রবিউল ইসলাম আগে একটি সাধারণ অভিযোগ করেছিলেন, সেটির তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।