মেহেরপুরপ্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ আসর শুরু হতে আর মাত্র ছয় দিন বাকি। ২৬ ডিসেম্বর সিলেট স্টেডিয়ামে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক সিলেট টাইটান্স। উদ্বোধনী ম্যাচের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে, মিরপুরে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স আজ অনুশীলন করেছে। বাকি পাঁচ ফ্র্যাঞ্চাইজি—রংপুর রাইডার্স, সিলেট টাইটান্স, নোয়াখালী এক্সপ্রেস, ঢাকা ক্যাপিটালস ও চট্টগ্রাম রয়্যালস—পর্যায়ক্রমে অনুশীলনে নামবে।
দলগুলো দেরিতে মাঠে নামায় ক্রীড়াঙ্গনে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। তবে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সমর্থক ও বিসিবি কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের একজন কর্মকর্তা জানান, লিগের কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া বা স্থগিত করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের মতামত নেওয়া হতে পারে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ইতিমধ্যেই সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। খেলার পোশাক ও সরঞ্জাম ক্রয় করা হয়েছে, বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে এবং পাকিস্তান থেকে টিভি প্রডাকশন টিমও ভাড়া করা হয়েছে। এতে লিগ স্থগিত হলে বিশ্বের কাছে নেতিবাচক বার্তা যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিসিবি গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু জানিয়েছেন, “সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের পরামর্শ নেওয়ার পরই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। খেলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য সব মহলের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন।” বিপিএল শুরু হচ্ছে সিলেট থেকে, ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত। দলগুলো ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। তবে বিসিবি জানিয়েছে, লিগের সুষ্ঠু আয়োজন সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।
বিপিএল শুরুর আগে উদ্বেগ বৃদ্ধি, বিসিবি সতর্ক
পূর্ববর্তী খবর