মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি হত্যার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উঠে এসেছে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ ওরফে ‘শাহীন চেয়ারম্যান’-এর নাম। গোয়েন্দা সূত্র যুগান্তরকে জানিয়েছেন, কিলিং মিশন বাস্তবায়নে অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহের দায়িত্বই ছিল তার। শাহীন আহমেদ দীর্ঘদিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার আওয়ামী লীগ সভাপতি ছিলেন, তবে স্থানীয়ভাবে তিনি মাফিয়া ডন হিসেবেই বেশি পরিচিত। শেখ হাসিনা আমলে তিনি ছিলেন সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ডানহাত। চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী হিসেবে তার নাম পুলিশের খাতায় অনেক আগে থেকেই তালিকাভুক্ত ছিল। বহুবিধ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকলেও প্রশাসনের কাছ থেকে সমীহ পাওয়ায় তিনি সহজে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতেন। এই প্রভাব প্রতিপত্তি কাজে লাগিয়ে তিনি একাধিকবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। স্থানীয়রা জানান, ২০২৫ সালের ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর শাহীন চেয়ারম্যান সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়ে যান। সেখানে পলাতক অবস্থায় থাকলেও ৩ু৪ মাস আগে তিনি পুনরায় দেশে ফিরে খোলস ছেড়ে পুরোনো চেহারায় আবির্ভূত হন। এরপর দেশের মধ্যে আওয়ামী লীগের হিটলিস্ট বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অ্যাপ ও মুঠোফোনে স্লিপার সেলের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানিয়েছেন, কয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ কল এবং এসএমএসের সূত্রে হাদি হত্যায় শাহীন চেয়ারম্যানের সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
হাদি-হত্যার হোতা কে এই শাহীন?
পূর্ববর্তী খবর