ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় পুলিশ একটি সন্দেহভাজন শনাক্ত করেছে। জানা গেছে, ওই ব্যক্তির নাম ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান।
সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম দাউদ খান আগে কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য ছিলেন।
হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারসহ বিভিন্ন জায়গায় ফয়সালের সঙ্গে থাকা ছবির সাদৃশ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে পুলিশ তাকে শনাক্ত করেছে। ডিএমপি জনসাধারণকে ফয়সালের তথ্য দিতে অনুরোধ জানিয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ঘোষণা করেছেন, ফয়সালকে ধরিয়ে দিলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ব্যবস্থা হবে।
ফয়সালের পেশাগত জীবনের তথ্য অনুযায়ী, তিনি লিংকডইনে নিজেকে তিনটি প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন—অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি এবং এনলিস্ট ওয়ার্ক। ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক এবং পরবর্তীতে এমবিএ করেছেন।
ছাত্রলীগের সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমন কার্যক্রমে তিনি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের সঙ্গে মাঠে উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি, হাদিকে গুলির ঘটনায় ফয়সালের সঙ্গে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
ফয়সাল করিম দাউদ খানের পরিচয় ও রাজনৈতিক পটভূমি নিয়ে এই ঘটনায় কৌতূহল তৈরি হয়েছে এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।