Prothom Rajdhani
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • স্থানীয়
  • অর্থ বাণিজ্য
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • লাইফ স্টাইল
  • অন্যান্য
    • চাকরি
    • শিক্ষা
    • রকমারি
    • শিল্প ও সাহিত্য
Prothom Rajdhani
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • স্থানীয়
  • অর্থ বাণিজ্য
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • লাইফ স্টাইল
  • অন্যান্য
    • চাকরি
    • শিক্ষা
    • রকমারি
    • শিল্প ও সাহিত্য
টপ নিউজমুক্তমত

ফজিলাতুন্নেছা জোহার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

দ্বারা Prothom Rajdhani ৮ জুলাই, ২০২২
৮ জুলাই, ২০২২ 653 দৃশ্যগুলি

আলহাজ্ব জয়নাল আবেদিন খাঁন :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী ও বাংলাদেশের প্রথম নারী অধ্যক্ষ বাঙ্গালী জাতির নারী শিক্ষার চির প্রেরনার উৎস্য মরহুমা ফজিলাতুন্নেছা জোহার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করছি।
১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ছিলো, একটা ছেলে যদি একজন মেয়ের সাথে কথা বলতে চায়, তবে তাকে প্রক্টর বরাবর দরখাস্ত দিতে হবে। শুধুমাত্র প্রক্টর অনুমতি দিলেই সে কথা বলতে পারবে। এছাড়া নয়। এমনকি তার ক্লাসের কোন মেয়ের সাথেও না।
ডিসেম্বর ১৯২৭, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাত্র ৬ বছর পর একদিন কোলকাতা থেকে একজন যুবক এলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখবেন। কয়েকজন বন্ধু বান্ধব নিয়ে সে ঘুরতে বের হলো। তখন কার্জন হল ছিলো বিজ্ঞান ভবন। ঘুরতে ঘুরতে যখন কার্জন হলের সামনে এসে পড়লো তাঁরা, সে যুবক দেখলো দূরে একটা থ্রী কোয়ার্টার হাতার ব্লাউজ আর সুতির শাড়ী পরা এক মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সে তাঁর বন্ধুদের জিজ্ঞেস করলেন, এই মেয়েটি কে? তখন তাঁর বন্ধুরা বললো, এ হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম নারী ছাত্রী। তখন সেই যুবক বলে, সত্যি? আমি এই মেয়ের সাথে কথা বলবো। তখন সে যুবক মেয়েটির সাথে কথা বলার জন্য একটু এগিয়ে গেলে তাঁর বন্ধুরা তাঁকে বাঁধা দেয়। বলে, না তুমি যেওনা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের সাথে কথা বলার অনুমতি নেই। তুমি যদি ওর সাথে অনুমতি ছাড়া কথা বলো তবে তোমার শাস্তি হবে। সেই যুবক বলল, “আমি মানি না কোন বাঁধা, মানি না কোন আইন।”সেই যুবক হেঁটে হেঁটে গিয়ে সেই মেয়েটির সামনে দাঁড়ালো। তারপর তাঁকে বলল, আমি শুনেছি আপনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম নারী ছাত্রী। কি নাম আপনার? মেয়েটি মাথা নীচু করে বললো, ফজিলাতুন্নেছা। জিজ্ঞাসা করলো, কোন সাবজেক্টে পড়েন? বললো গণিতে। গ্রামের বাড়ি কোথায়? টাঙ্গাইলের করটিয়া। ঢাকায় থাকছেন কোথায়? সিদ্দিকবাজার। এবার যুবক বললেন, আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম নারী ছাত্রী, আপনার সাথে কথা বলে আমি খুব আপ্লুত হয়েছি। আজই সন্ধ্যায় আমি আপনার সাথে দেখা করতে আসবো। মেয়েটি চলে গেলো। এই সব কিছু দূরে দাঁড়িয়ে এসিস্ট্যান্ট প্রক্টর স্যার দেখছিলেন। তার ঠিক তিনদিন পর। ২৯ ডিসেম্বর ১৯২৭, কলা ভবন আর বিজ্ঞান ভবনের নোটিশ বোর্ডে হাতে লেখা বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে দেয়া হলো যুবকের নামে। তার নাম লেখা হলো, তার বাবার নাম লেখা হলো এবং বিজ্ঞপ্তিতে বলা হলো, এই যুবকের আজীবনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
তারপরে এই যুবক আর কোনদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি। সেইদিনের সেই যুবক, বৃদ্ধ বয়সে ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট মৃত্যুবরণ করলেন। যে যুবকটা আর কোনদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ করেননি, তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর কবর হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সেই যুবকটি আর কেউ নন, নিপীড়িত মানবতার কবি, সাম্যের কবি, বাংলা ভাষাভাষী মানুষের অহংকার, আমাদের জাতীয় কবি, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তার অমর গান ‘মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই’ এ ব্যক্ত অন্তিম ইচ্ছে অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশেই তাকে সমাধিস্থ করা হয়। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
ফজিলাতুন্নেসা জোহাকে নিয়ে কবি নজরুল ‘বর্ষা বিদায়’ কবিতা লেখেন। শুনেছি কবি নাকি তাঁকে প্রেম নিবেদনও করেছিলেন! সাড়া না পেয়েই নাকি তাঁর উদ্দেশ্যে কবিতা লিখেছিলেন।
টাঙ্গাইলের সদর থানার নামদার কুমুল্লী গ্রামে জন্ম নেয়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোক উদ্ভাসিতকারী, মহিয়সী নারী বেগম ফজিলতুন্নেসা জোহা ।
বেগম ফজিলতুন্নেসা জোহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলমান ছাত্রী ও ঢাকা ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন (১৯৪৮-৫৭)। তিনিই প্রথম বাঙালি মুসলমান ছাত্রী যিনি উচ্চ শিক্ষার্থে স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে যান।
বেগম ফজিলতুন্নেসা সম্পর্কে পরিচয় পাওয়া যায় কাজী মোতাহার হোসেনের লেখা থেকে….
“ বেগম ফজিলতুন্নেসা অসামান্য সুন্দরীও ছিলেন না অথবা বীনানিন্দিত মঞ্জুভাষিণীও ছিলেন না। ছিলেন অঙ্কের এম এ এবং একজন উচুঁদরের বাক্‌পটু মেয়ে।
জন্ম : বেগম ফজিলতুন্নেসার জন্ম ১৮৯৯ সালের ৮ জুলাই টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার নামদার কুমুল্লী গ্রামে। পিতার নাম ওয়াজেদ আলী খাঁ, মাতা হালিমা খাতুন।
শিক্ষা : মাত্র ৬ বছর বয়সে ওয়াজেদ আলী খাঁ ফজিলতুন্নেসাকে করটিয়ার প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করে দেন। তিনি ১৯২১ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক ও ১৯২৩ সালে প্রথম বিভাগে ইডেন কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। ফজিলাতুন্নেছা ১৯২৫ সালে কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে বিএ পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৭ সালে গণিত শাস্ত্রে এমএ-তে ফার্স্ট ক্লাশ ফার্স্ট (গোল্ড মেডালিস্ট) হয়েছিলেন। অতঃপর তিনি ১৯২৮ সালে বিলেতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য গমন করেন।নিখিল বঙ্গে তিনিই প্রথম মুসলিম মহিলা গ্র্যাজুয়েট। উপমহাদেশে মুসলিম মহিলাদের মধ্যে তিনিই প্রথম বিলেত থেকে ডিগ্রি এনেছিলেন। তাঁর পড়াশোনার ব্যাপারে করটিয়ার জমিদার মরহুম ওয়াজেদ আলী খান পন্নী (চাঁদ মিয়া) বিশেষ উৎসাহ ও অর্থ সাহায্য করতেন।
কবি নজরুল ও ফজিলতুনন্নেসা…..
অন্য নারীদের তুলনায় কবির সঙ্গে ফজিলাতুন্নেসার ব্যাপারটি অন্য রকম। এই একটি সম্পর্ক রূঢ় প্রত্যাখ্যানের রূপটি চিনিয়েছিলো কবিকে। সমুদ্রের ঢেউভাঙা জলের মতো নজরুলের নিবেদন স্পর্শ করতে চেয়েছে ফজিলাতুন্নেসার চরণ কিন্তু কি আশ্চর্য উপেক্ষার শক্তি ছিল শ্যামাঙ্গী তরুণীর! তিনি ফিরে তাকালেন না, বরং ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ-অবহেলায় ক্ষত-বিক্ষত করেছেন কবির হৃদয়!
এ-সংক্রান্ত নজরুলের মোট আটটি চিঠি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তার মধ্যে কাজী মোতাহার হোসেনকে লেখা সাতটি এবং ফজিলাতুন্নেসাকে লেখা একটি চিঠিতে যে ব্যথিত-অপমানিত, কাতর ও গ্লানি-জর্জরিত নজরুলকে পাওয়া যায়, তা তুলনারহিত। এখানে বলা বোধ হয় অপ্রসাঙ্গিক হবে না, বন্ধুকে লেখা চিঠিগুলোর প্রাপক কাজী মোতাহার হোসেন হলেও তিনি চাইতেন—এই চিঠিগুলো ফজিলাতুন্নেসাও পড়ুক। তাঁর চিঠিতে সেই আগ্রহের কথা উল্লেখ আছে।
প্রথমেই এ কথা জানিয়ে রাখা যাক, ফজিলাতুন্নেসা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম ছাত্রী। তাঁর বাবা আবদুল ওয়াহেদ খান টাঙ্গাইলের করটিয়ার জমিদারবাড়িতে চাকরি করতেন। তবে ধারণা করা যায়, মেয়েকে ঢাকায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর মতো আর্থিক সংগতি তাঁর ছিল না। কিন্তু ফজিলাতুন্নেসার জীবনের লক্ষ্য যেমন ছিল সুদূর; সেই লক্ষ্য পূরণে তাঁর সাহস ও একাগ্রতাও ছিল বিস্ময়কর।
সেই আমলে রক্ষণশীল সমাজে একজন মুসলিম মেয়ের পক্ষে ঢাকায় একা থেকে (মাঝে মাঝে তাঁর বোন শফিকুন্নেসা তাঁর সঙ্গে থাকতেন) বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কতটা দুরূহ ছিল, আজকের দিনে তা কল্পনা করাও কঠিন। কিন্তু ফজিলাতুন্নেসা বৃত্তি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু যে পড়াশোনা করেছেন তা নয়, গণিতশাস্ত্রে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান পেয়ে তাঁর মেধারও প্রমাণ রেখেছেন।
১৯২৮ সালে মুসলিম সাহিত্য সমাজের দ্বিতীয় বার্ষিক সম্মেলনে দ্বিতীয় দফা অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে এসেছিলেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল।
এই সংগঠনের সম্পাদক কাজী মোতাহার হোসেনের বর্ধমান হাউসের বাড়িতে আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন তিনি। এ সময়ে ফজিলাতুন্নেসা নজরুল হস্তরেখা দেখে ভাগ্য গণনা করতে পারেন শুনে নিজের ‘ভাগ্য ও ভবিষ্যৎ’ জানতে আগ্রহী হয়েছিলেন।এ কথা শোনে বন্ধু মোতাহারকে নিয়ে তাঁর বাসায় গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন নজরুল। হস্তরেখা বিশ্লেষণ পর্যন্ত ব্যাপারটা ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু এর পরের ঘটনাটি রহস্যময়। সেই রহস্যের কিনারা এখনো হয়নি। তবে কাজী মোতাহার হোসেনের স্মৃতিচারণায় এটুকু ইঙ্গিত পাওয়া যায়, এরপর কোনো এক রাতে ফজিলাতুন্নেসার দেওয়ানবাজারের বাড়িতে একা গিয়ে হাজির হয়েছিলেন নজরুল। এই বিদূষী নারীর কাছে প্রেম নিবেদন করেছিলেন। কিন্তু এতকাল কবির সঙ্গে যে তরুণীদের সান্নিধ্যের সুযোগ হয়েছিলো, ফজিলাতুন্নেসা ছিলেন তার ব্যতিক্রম। অন্য ধাতুতে গড়া এই নারী, তাৎক্ষণিক প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তাঁকে। প্রত্যাখ্যানের ভাষা ও আচরণ ছিল রীতিমতো কঠোর। এই আঘাত মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছিলো কবিকে।
নজরুল ফজিলতুন্নেসার বিলেত গমন উপলেক্ষে ‘’বর্ষা-বিদায়” নামক একটি কবিতা লেখেন। কলকাতা ফিরে গিয়ে নজরুল ফজিলতুন্নেসাকে একটি কাব্যিক চিঠি লেখেন। সেই কাব্যিক চিঠির নাম রহস্যময়ী (পরে তুমি মোরে ভুলিয়াছ নাম দেওয়া হয়)।
পরিবার : বিদেশে পড়ার সময় ফজিলতুন্নেসা সাতক্ষীরা নিবাসী খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ্‌র পুত্র প্রথম বাঙালি সলিসিটর ব্যারিসটার জনাব শামসুজ্জোহার সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন।
কর্মজীবনে তাঁর অসমান্য ‍অবদান…..
লন্ডন থেকে ফিরে ১৯৩০ সালে তিনি কলকাতায় প্রথমে স্কুল ইন্সপেক্টরের চাকুরিতে যোগদান করেন। ১৯৩০ সালের আগস্টে কলকাতার অ্যালবার্ট হলে অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গীয় মুসলিম সমাজ-সেবক-সংঘে’র বার্ষিক অধিবেশনে সভাপতি হিসেবে তাঁর বক্তব্যটি নারী
জাগরণের মাইল ফলক হয়ে আছে। এই অধিবেশনে তিনি বলেন ‘নারী-শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন ও বলেন। নারী সমাজের অর্ধাঙ্গ, সমাজের পূর্ণতালাভ কোনোদিনই নারীকে বাদ দিয়ে সম্ভব হতে পারে না। সেই জন্যেই আজ এ সমাজ এতোটা পঙ্গু হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন,
The highest form of society is one in which every man and woman is free to develop his or her individuality and to enrich the society what is more characteristic of himself or herself.
কাজেই এ সমাজের অবনতির প্রধান কারণ নারীকে ঘরে বন্দি করে রেখে তার Individuality বিকাশের পথ রুদ্ধ করে রাখা। নারী-শিক্ষা সম্বন্ধে এতোটা কথা আজ বলছি তার কারণ সমাজের গোড়ায় যে-গলদ রয়েছে সেটাকে দূরীভূত করতে না-পারলে সমাজকে কখনই সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারা যাবে না।’
তিনি ১৯৩৫ সালে বেথুন কলেজে গণিতের অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন। বেথুন কলেজে চাকুরীরত অবস্থায় দেশবিভাগের পর তিনি ঢাকায় চলে এসে ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন ১৯৪৮ সালে। বেগম ফজিলাতুন্নেছা ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা ইডেন কলেজের অধ্যক্ষা ছিলেন। বেগম ফজিলাতুন্নেছার অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টায় বিজ্ঞান ও বাণিজ্যিক বিভাগসহ ইডেন কলেজ ডিগ্রি পর্যায়ে উন্নীত হয়।১৯৫২ সালে ইডেন কলেজের মেয়েরা রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে কলেজের অভ্যন্তর থেকে মিছিল বের করার প্রস্ত্তুতি নিলে উর্দুভাষী এক দারোগা হোস্টেলে ঢুকে মেয়েদের ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করার এক পর্যায়ে
খবর পেয়ে বেগম ফজিলাতুন্নেছা কলেজে এসে তার বিনানুমতিতে কলেজ প্রাঙ্গণে ঢোকার জন্য দারোগাকে ভৎসনা করে হোস্টেল থেকে বের করে দেন নিজের দৃঢ়তা ও প্রশাসনিক ক্ষমতার বলে।
নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি সম্পর্কে সওগাতসহ শিখা পত্রিকায় মুসলিম নারীর মুক্তির জন্য যে লেখা প্রকাশ করেছিলেন তা-
মুসলিম নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা
নারী জীবনে আধুনিক শিক্ষার আস্বাদ
মুসলিম নারীর মুক্তি ইত্যাদি প্রবন্ধ
এছাড়াও অনেক পত্রিকায় তাঁর বিভিন্ন প্রবন্ধ, গল্প প্রকাশিত হয়।
মৃত্যু……….
এই বিদুষী নারী ১৯৭৭ সালে ২১ অক্টোবর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। এই মহীয়সী নারীর স্মৃতি রক্ষার্থে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮৭ সালে ফজিলাতুন্নেছার নামে মেয়েদের হল নির্মাণ করা হয়।
হে মহান স্রষ্টা হে দয়াময় বাংলা মায়ের গৌরবময় অধ্যায়ের আলোকিত বাতিঘর মহিয়সী নারী ফজিলাতুন্নেছা জোহা কে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন, আমিন।

( লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য  ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য)



শেয়ার করুন
0
FacebookTwitterPinterestEmail
পূর্ববর্তী খবর
সাংবাদিক রুবেল হত্যার প্রতিবাদে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি’র ৮ দফা কর্মসুচি ঘোষণা
পরের খবর
চলেগেলেন শর্মিলী আহমেদ

আরও পড়ুন

গাংনীতে বিএনপি অফিসের সামনে বোমাসদৃশ বস্তু ও হুমকিপত্র উদ্ধার

মেহেরপুরে নারী-শিশুসহ ৮ জনপুশ-ইন

মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-২

মায়ের দাফনে ইউপি চেয়ারম্যান প্যারোলে মুক্ত

জনপ্রিয় খবর

  • পাঁচ কেজি গাঁজা সহ কুতুবপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার  সোহেল  আটক

  • মেহেরপুরে নৌকা ছেড়ে ট্রাকে উঠার হিরিক

  • মেহেরপুরে এস এস সি ব্যাচ -৯৩ ও ৯৫ এর ইফতার মহাফিল

  • মেহেরপুর পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা

  • মেহেরপুরে শর্মা ফুড প্লাজা রেস্টুরেন্টের শুভ উদ্বোধন

সর্বশেষ

  • গাংনীতে বিএনপি অফিসের সামনে বোমাসদৃশ বস্তু ও হুমকিপত্র উদ্ধার

  • মেহেরপুরে নারী-শিশুসহ ৮ জনপুশ-ইন

  • মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-২

  • মায়ের দাফনে ইউপি চেয়ারম্যান প্যারোলে মুক্ত

  • জাতীয় গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা পথিক চলে গেলেন না ফেরার দেশে

  • ভুয়া চিকিৎসক সেজে প্রতারণা, ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা

  • মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত

প্রথম রাজধানী

হোটেল বাজার মোড়, মেহেরপুর।
ফোন: +8801714938647
ইমেইল prothomraj@gmail.com

প্রকাশক ও সম্পাদক

সম্পাদক: মাহবুবুল হক পোলেন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মকিদুর রহমান
বার্তা সম্পাদক: মিজানুর রহমান অপু
ফোন: +8801714938647
ইমেইল: prothomraj@gmail.com

ফেসবুকে ফলো করুন

Facebook
  • Facebook
  • Twitter
  • Instagram

ফোনঃ +৮৮০১৭১৪৯৩৮৬৪৭ | ইমেইলঃ prothomraj@gmail.com

স্বত্ত্বাধিকারী ২০২৩ প্রথম রাজধানী। সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত। কারিগরি সহযোগিতায়ঃ দেশি হোস্টিং।


উপরে ফিরে যান