মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোঃ আমজাদ হোসেন শনিবার বিকেলে গাংনীর বাঁশবেড়িয়া বাজার থেকে গণমিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বলেন, “আমরা হামলা-মামলা, জেল-জুলুম ও নির্যাতন সবই সহ্য করেছি—কিন্তু কখনো মানুষের পাশে দাঁড়ানো থেকে পিছপা হইনি।”
তিনি বলেন, “আপনারা দীর্ঘদিন আমাকে পাশে রেখেছেন। আপনাদের সেই আস্থা ও ভালোবাসার কারণেই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। ধানের শীষ শুধু আমার প্রতীক নয়, গাংনী উপজেলার প্রতিটি মানুষের প্রতীক।”
প্রার্থী আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে একটি মহল বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে। তিনি জনগণকে আহ্বান জানান, এইসব অপপ্রচারে কান দেবেন না। “আজকের মিছিলে নারী-পুরুষসহ হাজারো মানুষের ঢল প্রমাণ করে মানুষ বিএনপিকে ও ধানের শীষকে ভালোবাসে।”
আমজাদ হোসেন বলেন, “বিএনপি একটি বড় দল। অনেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু দল যাকে উপযুক্ত মনে করেছে তাকেই মনোনয়ন দিয়েছে। আমরা সবাই ধানের শীষের কর্মী, তাই শীষের বিজয়ের জন্য একতাবদ্ধ থাকা প্রয়োজন।” এছাড়া তিনি ৩১ দফা পুনর্গঠনের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
গণমিছিলটি বাঁশবাড়িয়া বাজার থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে গাংনী বাজারস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মতিউর রহমান মোল্লা।
বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান, নেতা নাসির উদ্দীন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাজেদুর রহমান বুলবুল, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসাইন এবং কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদসহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী।
মিছিল ও সমাবেশকে ঘিরে এলাকাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে গাংনী শহর এক বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়।