প্রথম রাজধানি প্রতিবেদনঃ
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে এশিয়া কাপ, যেখানে এশিয়ার সেরা ৮টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন প্রতিটি দেশের সম্ভাবনা ও শক্তি-দুর্বলতা নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশের স্কোয়াড নিয়ে প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো।
বি গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী:
আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, হংকং।
বাংলাদেশের স্কোয়াড:
লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, সাইফ হাসান, তৌহিদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক, শামীম হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, মাহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, সাইফ উদ্দিন।
সম্ভাব্য প্রথম একাদশ:
তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক, মাহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, মোস্তাফিজুর রহমান।
দলের শক্তি:
বাংলাদেশ দলের প্রধান শক্তি হলো পেস বিভাগ। তাসকিন, তানজিম সাকিবরা সাম্প্রতিক সময়ে নতুন বলে ভালো ফর্মে আছেন। মোস্তাফিজুর রহমান মাঝের ওভার ও ডেথ ওভারে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেন। এছাড়া স্পিন বিভাগেও রিশাদ হোসেন এবং মাহেদি হাসান আছে, যারা প্রয়োজনে ব্যাটিং-এও অবদান রাখতে সক্ষম। লিটন দাসের নেতৃত্বে টাইগাররা সাম্প্রতিক ফর্মে ভালো দেখিয়েছে; শেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
দলের দুর্বলতা:
বড় টুর্নামেন্টে মানসিক চাপ সামলাতে না পারা বাংলাদেশের পুরনো সমস্যা। অতীতে ভালো ফর্ম দেখিয়ে তারা টুর্নামেন্টে ঠিকমতো জায়গা করতে পারেনি। এছাড়া দলের ব্যাটিং-এ পাওয়ার হিটার অভাব রয়েছে। বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট ১৪০-এর ওপরে নেই; অধিকাংশের গড় স্ট্রাইক রেট ১২০–১৩০। আধুনিক টি-টোয়েন্টিতে এ রকম ধীরগতিতে রান তোলা যথেষ্ট নয়।
এক্স ফ্যাক্টর:
জাকের আলি অনিক। ধীরগতির ব্যাটারদের মধ্যে তিনি ব্যতিক্রম, প্রয়োজন হলে ছক্কা হাঁকাতে পারেন। যদিও আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা কম, তবে তার উজ্জ্বল পারফরম্যান্স বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিতে পারে।
সম্ভাবনা:
গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো শক্তিশালী দলের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সুপার ফোরে যাওয়ার আগে গ্রুপ পর্বই লিটন দাসদের প্রধান চ্যালেঞ্জ।