মেহেরপুর প্রতিনিধি :
মেহেরপুরে বোরো ধানে মাজরা পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। দফায় দফায় বালাইনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না কোনো প্রতিকার। কৃষকরা বলছেন, কৃষি বিভাগের কাছ থেকেও পাচ্ছেন না কোনো সহায়তা। আর কৃষি কর্মকর্তা বলছে এ ধরনের কোন খবর তাদের কাছে নেয়।
চলতি মৌসুমে এবার মেহেরপুরে ১৯ হাজার ৪২৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর বেশি। তবে আবহাওয়ার কারনে বিগত বছরের তুলনায় এবার মাজরা পোকার আক্রমনের হার বেশি। দ্রুত পোকার দমন না করা হলে ভয়াবহ ফলন বিপর্যয়ের মুখে পড়বে কৃষকরা। মাজরা পোকার ভয়াবহ আক্রমনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জেলার হাজার হাজার কৃষক। কৃষকরা বলছেন, দফায় দফায় বালাইনাশক প্রয়োগ করেও পোকার হাত থেকে রেহাই পাওয় যাচ্ছে না। পোকায় ধানের বাইল শিষ কেটে দিয়ে ক্ষেত নষ্ট করে ফেলছে। কৃষি অফিসের কেউ কোন সহযোগিতা করছে না। পোকায় জমির প্রায় ২৫% ধান নষ্ট করে দিয়েছে। একারনে ফলন বিপর্যয়ের সাথে সাথে লোকসান হবে এবারের মৌসুমে।
কৃষক কাউসার আলী বলেন. এবার বোর ধান পোকায় শেষ করে দিলো। লাভতো দুরের কথা খাওয়ার ধানটাও জমিতেকে বাড়ি নিতে পারবো কিনা সন্দেহ আছে। কৃষি অফিসার আসবে আমাদের পরামর্ষ দেবে এই বিষটা না ঐ বিষটা দাও। আমাদের যে কৃষি কর্মকর্তারা আছে তাদের চোখেই দেখিনা।
কৃষক তোফাজ্জেল বলেন, দোকান থেকে বিষ নিয়ে এসে দিয়ে চার পয়সারও কাজ হচ্ছেনা। বিষ দিতে দিতে হাপিয়ে গেলাম। এই প্রথম ধানে পাঁচ ছয়বার বিষ দেওয়া লাগছে। ধানের অবস্থা একেবারে শেষ।
কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এবার ধানের পরিবর্তে বিচলি নিয়ে বাড়ি যেতে হবে।
হওয়া ধান পোকায় খেয়ে ফেলেছে ১৬ আনা ধানের চার আনাই নেই। বাকি যেটুকু আছে তার অবস্থাও ভালোনা।ওপর বৃষ্টি নেই, সাথে রোদের তাপের পোখরতায় পোকার আক্রমন বেশী হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, ধানো পোকা আক্রমনের কোন খবর আমাদের জানা নেই, তাই এ বিষয়ে কোন কিছু বলতে পারবোনা।


পূর্ববর্তী খবর