মেহেরপুর প্রতিনিধি: ৩০-১২-২০২৩
মেহেরপুরে নৌকা প্রতিকের কর্মি ও সমর্থকদের ট্রাকে উঠার হিরিক পড়ে গেছে। কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান ইদ্রিস আলী মাষ্টার, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মখলেছুর রহমান খোকন, বঙ্গবন্ধু গবেষনা পরিষদের সভাপতি হাসানুজ্জামান মালেক সহ শতাধিক নেতাকর্মীরা নৌকা ছেড়ে সতন্ত্র পার্থীর সাথে হাত মিলিয়ে ট্রাকের প্রচরনায় নেমে গেছে। কোথাও কোথাও নৌকা প্রতিকের অফিস পরিবর্তন হয়ে রাতারাতি ট্রাকের অফিস বনে গেছে। মেহেরপুর ১ আসনে নৌকা প্রতিক নিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও ট্রাক প্রতিক নিয়ে দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
মেহেরপুর সদর উপজেলার দক্ষিন শালিকা গ্রামের যুবলীগের নেতা লিটিল বলেন আমরা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ করি। আমরা এয় সংসদ নির্বাচনেও নৌকার পক্ষে ছিলাম। কিন্তু তৃনমুলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা কেউ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সাথে নেয়। তায় আমরাও তৃনমুলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সাথে একমত হয়ে নৌকার অফিস তুলে দিয়ে ট্রাকের অফিস করে ট্রাকের প্রচোরনায় নেমে গেছি।
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল মান্নান ছোট বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আওয়ামী লীগকে একটি পরিবারের মধ্যে কুক্ষিগত করে ফেলেছে। ৭১ সদস্য জেলা কমিটির মধ্যে তার প্রায় ২৫ জন তার পরিবারের সদস্য। বিভিন্ন স্কুল কলেজের ম্যানেজিং কমিটিতে তার স্ত্রী ,ভাই, বোন , বোন জামায় ও সে নিজে সভাপতি হয়েছে। স্থানীয় নেতা কর্মিদের কোন মুল্যায়ন করেনি। তার বাড়িতে ঢুকতে গেলে পাচ স্থরের নিরাপত্তা ভেদ করে যেতে হয়। স্থানিয় নেতা কর্মিরা সকাল দশটায় এসে রাত দশটা প্রর্যন্ত অপেক্ষা করে দেখা না করতে পারেনা। একারনে এবারের নির্বাচনে মেহরপুর সদরের তৃনমুলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা তাকে প্রত্যাক্ষান করেছে।
মেহেরপুর সদর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ গোলাম রসুল বলেন মেহেরপুরের আওয়ামী লীগের কিছু কর্মী সমর্থক আছে যা কখোনো নৌকার বাইরে ভোট দেয়নি এমন কিছু সমর্থক তার সাথে ছিলো তারাও আমাদের সাথে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ করছে। গতকাল কিছু সমর্থক আমাদের ট্রাকে উঠে পড়েছে। আজকেও বেশ কিছু চমক আছে । জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নির্বাচনি পথসভাই তৃনমুলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে । তাদের মানসন্মান নিয়ে কথা বলছে যা আমাদের জন্য আরও সুফল বয়ে আনছে। আশা করছি সাত তারিখ প্রর্যন্ত তার কাছে কোনো তৃনমুলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা থাকবেনা।
পূর্ববর্তী খবর