মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মেহেরপুরের গাংনী বাজারে ‘মফিজ ফল ভাণ্ডার’ ভাঙচুরের প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন করেছেন দোকানটির স্বত্বাধিকারী মফিজুর রহমান। সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ভাই রফিকুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে গাংনী বাজারের আমিরুল মার্কেট ও এস এম প্লাজা মার্কেটের একদল লোক দোকানের ভেতরে ঢুকে জোরপূর্বক ভাঙচুর চালায়। প্রায় ৪০ বছর ধরে গাংনী বাজারে ফলের ব্যবসা করে আসছেন মফিজুর রহমান। জেলা পরিষদের কাছ থেকে ৯৯ বছরের জন্য লিজ নেওয়া দোকানঘরটিতেই তারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাজারে চলমান রাস্তা নির্মাণ কাজকে কেন্দ্র করে ‘ম্যাপে না থাকা’ অজুহাতে অভিযুক্তদের একটি চক্র গত ৪-৫ মাস ধরে তাকে দোকান ভাঙার হুমকি দিয়ে আসছিল। এমনকি দোকান অক্ষত রাখতে তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। তিনি সেই চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ১৫ নভেম্বর দুপুর ২টার দিকে অভিযুক্তরা লোহার রড, লাঠিসহ একটি সংঘবদ্ধ দল নিয়ে দোকানে হামলা চালায়। তারা দোকানের মালামাল লুটপাটের পাশাপাশি প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে।
রফিকুল ইসলাম আরও জানান, হামলার সময় আসামি সালাউদ্দিন শাওন দোকানের ক্যাশ ড্রয়ার থেকে মহাজনকে দেওয়ার জন্য রাখা ১৫ লাখ টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। এসময় বাধা দিতে গেলে মফিজুর রহমানকে মারধর করে দোকান থেকে বের করে দেয় হামলাকারীরা। ঘটনাস্থলে ছুটে আসা তার স্ত্রীকেও মারধর করা হয়।
এ ঘটনায় মফিজুর রহমান গাংনী সাবেক পৌরমেয়র আমিরুল ইসলামের ছেলে সালাউদ্দিন শাওন, কাপড় ব্যবসায়ী রেজাউল হক, মানিক, সৌখিন বস্ত্রালয়ের মালিক রাশেদুল ইসলাম, কাপড় ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম রবি, ওয়ালটন শোরুমের সত্ত্বাধিকারী সাজু এবং ইমন টেইলার্সের মালিক ইমনের নামে অভিযোগ দিতে গাংনী থানায় গেলে পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে গড়িমসি করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনার পর থেকে তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন