গাংনী প্রতিনিধি:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের বিএনপি কর্মী মিজানুর রহমান মিজা মোবাইলে হত্যার হুমকি পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় তিনি নিজের নিরাপত্তা চেয়ে গাংনী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডির নম্বর—৬৯৫, তাং ১৬/১১/২৫ ইং।
ঘটনার সূত্রপাত কাথুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি গুলজার হোসেনের আস্থাভাজন কর্মী কামরুল ইসলাম ও বিএনপি কর্মী মিজার মধ্যে সাম্প্রতিক এক কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তিকে কেন্দ্র করে। এ ঘটনা সামাজিকভাবে ও গাংনী সেনা ক্যাম্পে মীমাংসা হয়ে গেলেও রোববার দুপুর ২টা ১৮ মিনিটে কামরুল ইসলামের ছেলে সেনা সদস্য সোহান মোবাইল নম্বর ০১৬০১-৬৪১১৭৬ থেকে মিজাকে হত্যার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেছেন মিজানুর রহমান মিজা।
মিজা জানান, সোহান একজন সেনা সদস্য। সে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের কাছেও লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরও দাবি করেন, কামরুল ইসলাম অতীতে কাথুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে অংশ নিয়েছেন এবং গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট করেছেন। শেখ হাসিনার জন্মদিন কেক কেটে পালন করার তার ছবিও রয়েছে। নিজের অপকর্ম আড়াল করতে এখন বিএনপির পরিচয় দিচ্ছেন কামরুল ইসলাম—অভিযোগ মিজার।
এসময় দীন ইসলাম ও হাফিজুল ইসলাম হাপু শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনসহ অন্যান্য রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে কামরুল ইসলামের অংশগ্রহণের বেশ কিছু ছবি সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করেন।
মিজা আরও বলেন, গতকাল ১৫ নভেম্বর কামরুল ইসলাম বিএনপি পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
অপরদিকে, সেনা সদস্য সোহান দাবি করেন, “এর আগে মিজা বিনা কারণে আমার বাবাকে মারধর করেছিল। সে ঘটনায় সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দেওয়ার পর উভয় পক্ষকে ডেকে মীমাংসা করা হয়। আমি তাকে হুমকি দিইনি, শুধু বলেছি যেন আর আমার বাবাকে মারধর না করে। তবে মীমাংসার পরও এমন আশঙ্কা কেন—জানতে চাইলে তিনি কোনো সুনির্দিষ্ট জবাব দেননি।
কামরুল ইসলাম অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার ছেলে কাউকে হুমকি দিয়েছে কিনা—সেটাও আমি জানি না।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, হুমকির ঘটনায় মিজানুর রহমান মিজা জিডি করেছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।